বর্তমান যুগে ইন্টারনেট একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। বাড়ি বা অফিসে ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া, মেল চেক থেকে শুরু করে ফাইল ডাউনলোড এবং আপলোড ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি বা অফিসে ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করে। ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে একদিকে যেমন ঘরের যেকোনো স্থানে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়, আবার একইসাথে অনেকগুলি ডিভাইস কানেক্টও করা যায়। তবে মাঝে মাঝে রাউটারের মাধ্যমে ভালো ইন্টারনেট স্পিড পাওয়া যায় না, যার ফলে ওয়েব ব্রাউজার থেকে শুরু করে ফাইল আপলোড ও ডাউনলোড সবক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
Intel এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটের জন্য এবং তারা সবাই জানতে চাই কি করে ওয়াইফাই এর স্পিড বৃদ্ধি করে তারা স্বাচ্ছন্দে তাদের বিনোদনের জিনিস দেখতে পাবে বা বড় ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করতে পারবে বা গেমিং করতে পারবে। সম্প্রতি WiFi 6 প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর ইন্টারনেটের স্পিড আগেকার তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখলে সহজেই ওয়াই-ফাই স্পিড অনেকটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। দেখুন সেই ৫টি উপায় কী কী…
১) ওয়ারলেস রেঞ্জ এক্সটেন্ডার: বাড়ির যে সমস্ত প্রান্তে ওয়াইফাই সিগন্যাল পৌঁছায় না তার জন্য আপনি ওয়ারলেস রেঞ্জ এক্সটেন্ডার লাগিয়ে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার রাউটারটি প্রথম তলায় রাখা হয় তবে আপনি অন্য তলায় একটি ওয়্যারলেস রেঞ্জ এক্সটেন্ডার যুক্ত করতে পারেন যা ওয়াইফাই সিগন্যালকে অন্য তলাতেও ছড়িয়ে দিতে পারবে।
২) অ্যাকসেস পয়েন্ট যোগ: বাড়িতে বা অফিসে বিভিন্ন জায়গায় অ্যাকসেস পয়েন্ট যোগ করলে তারা ইন্টারনেট সিগন্যাল একে অপরকে প্রেরণ করবে এবং এর ফলে পুরো জায়গাটিতে সিগনালের জাল গঠন হবে। এই পদ্ধতিতে বড় বড় অফিসে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো যেতে পারে।
৩) সঠিক ওয়াইফাই রাউটার এর ব্যবহার: সঠিক ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনি চ্যানেল ফ্রিকোয়েন্সি যেমন ২০,৪০,৮০ এমনকি ১৬০ মেগাহার্জ ও করতে পারেন। এছাড়া রাউটারের গেটওয়ে এবং ডিভাইসগুলি Wi-Fi 6 স্ট্যান্ডার্ডে আপডেট করতে পারেন। এরপরে ইন্টারনেটের স্পিড আগেকার তুলনায় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
৪)USB রাউটারের ব্যবহার: রাউটার কেনার আগে দেখে নিন তাতে ইউএসবি পোর্ট আছে নাকি।কারণ USB পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কানেক্ট করতে পারেন। এটা নেটওয়ার্ক স্টোরেজের মতো কাজ করে সমস্ত কানেক্টেড ডিভাইজের জন্য। এছাড়াও দেখা গেছে এই রাউটারগুলি বেশি শক্তিশালী হয় ও সিগন্যাল ভালো পাওয়া যায়।
৫) রাউটার রিবুট করা: আপনি আপনার রাউটারকে একবার বন্ধ করে আবার চালু করলে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। রিবুট বা রিসেটিং করলে অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি পায়।