ব্যাকটেরিয়ার কোনো নির্দিষ্ট পরিবেশ থাকে না। তারা বিভিন্ন পরিবেশের জন্য বিভিন্ন রকমের হয়। আমাদের হাতের আঙ্গুল থেকে শরীরের ভিতর অবধি সবখানেই আছে ব্যাকটেরিয়া। বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরের পক্ষে বেশ ভালো। তবে, এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে , যেগুলি শরীরের পক্ষে বেশ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে।
সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা এমন একটি জিনিস খুঁজে পেয়েছেন যাতে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট একটি ক্রিম কালারের ম্যাঙ্গানিজ কম্পাউন্ড খুঁজে পেয়েছেন তার একটি গ্লাসওয়ারের উপর। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওই গ্লাসওয়ারে একটি বিক্রিয়া হয়েছে, যার ফলে ওই বস্তুটি কালো হয়ে গিয়েছে। এবং ঐ কালো অংশে তৈরি হয়েছিল ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড। পাশাপাশি সেটি তার কিছু ইলেকট্রন হারিয়েছে। এই বিক্রিয়াটি কিভাবে হয়েছে তা জানতে গিয়ে ওই বিজ্ঞানী খুঁজে পেয়েছেন একটি বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া ওই বিক্রির জন্য দায়ী ছিল।
তিনি তার রিসার্চ থেকে খুঁজে পেয়েছেন, যে ওই ফ্লাস্কের ওপরে প্রায় ৭০টি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ছিল। তবে তার মধ্যে, শুধু মাত্র দুটি ব্যাকটেরিয়া এরকম, যারা ওই বিক্রিয়া করতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ওই দুটি ব্যাকটেরিয়া একসাথে মিলে এই বিক্রিয়া করেছে। তাদের কাজ করার ধরণ একেবারে সালোকসংশ্লেষ এর মত।
এখন অব্দি এই ব্যাকটেরিয়ার কাজ করার ধরন সম্পূর্ণরূপে বোঝা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও, এই বিষয়টিও এখনো পরিষ্কার হয়নি যে কোথা থেকে ম্যাঙ্গানিজ এল। বিজ্ঞানীদের ধারণা এই সব কিছুর পিছনে দায়ী ওই বিশেষ দুই প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া যারা ধাতু খেয়ে নিতে পারে। বিজ্ঞানীরা বর্তমানে এই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন। নাইট্রোজেন চক্র এবং কার্বন চক্রের ব্যাপারে জানলেও ম্যাঙ্গানিজ চক্রের ব্যাপারে এখনও আমরা খুব একটা বেশি কিছু জানিনা। তাই এই দুটি ব্যাকটেরিয়ার কাজ করার ধরন, আমাদের ম্যাঙ্গানিজ চক্রের ব্যাপারে থাকা বেশ কিছু ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু এই সমস্ত গবেষণায় এখনো কোন অগ্রগতি না হলেও এই বিশেষ ধাতুখোর ব্যাকটেরিয়া নিয়ে এখন বেশ মজেছেন নেটিজেনরা।