সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম স্পেস সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের খোঁজে Perseverance রোভার পাঠিয়েছে। এই রোভারটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাবে। এই রোভার এ বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও ২৩ টি ক্যামেরা আছে লালগ্রহের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য। এছাড়াও রোভারটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ Ingenuity নামক একটি ছোট্ট হেলিকপ্টার। মঙ্গল গ্রহের বুকে Ingenuity হেলিকপ্টার প্রেরণ নাসার একটি ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল প্রজেক্ট।
বর্তমানে Ingenuity হেলিকপ্টারটি Perseverance রোভারের বুকে চেপে মহাকাশ চিরে এগিয়ে যাচ্ছে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারটি মহাকাশে এখনো একদম ঠিক আছে। ৭ ই আগস্ট মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারটিকে সফলভাবে চার্জ করা গেছে। নাসা একটি বিবৃতিতে বলে, এই প্রথম মহাকাশে কোন হেলিকপ্টারের ব্যাটারি সফলভাবে চার্জ করা গেছে।
Ingenuity হেলিকপ্টারটি ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে গবেষণার কাজে অনেক সাহায্য করতে পারে। এর মাধ্যমে গ্রহের প্রত্যন্ত জায়গায় পৌঁছানো যাবে যেখানে রোভারগুলি পৌঁছাতে পারেনা। এছাড়াও ভবিষ্যতে মঙ্গলের বুকে অ্যাস্ট্রোনট ও রোভারগুলির খেয়াল রাখতে পারবে এই ছোট্ট হেলিকপ্টার। কিন্তু বর্তমানে Ingenuity র সাফল্য অন্ধকারে ঘেরা। হেলিকপ্টারটি আদেও মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করতে পারবে বা Perseverance রোভার থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর হেলিকপ্টারটির সিস্টেম আদেও কাজ করবে বা মঙ্গলের আকাশে এটি সত্যিই উড়বে ইত্যাদি প্রশ্ন এখনো থেকেই যাচ্ছে।
সম্প্রতি হেলিকপ্টারটির প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষায় কোন অসুবিধা দেখা যায়নি যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। JPL এর Ingenuity প্রজেক্ট ম্যানেজার মিমি অং বলেন, অন্য গ্রহে প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ানের পরীক্ষার চেষ্টা করার আগে আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে , তবে এই মুহুর্তে আমরা সবাই ভবিষ্যতের সাফল্যের কথা ভেবে খুব ভাল বোধ করছি।