দেশজুড়ে ধীরে ধীরে বেশ প্রবল হয়ে উঠেছে কৃষক বিক্ষোভ। দিকে দিকে কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিক্ষোভ জানাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরা। এবারে সেই প্রতিবাদের জন্য এবারে নামকরা ব্যবসায়ী কোম্পানি গৌতম আদানি থেকে শুরু করে মুকেশ আম্বানি দের সমস্ত প্রোডাক্ট বর্জন করার ডাক দিলেন কৃষকরা। মুকেশ আম্বানির অন্যতম জনপ্রিয় প্রডাক রিলায়েন্স জিও এর সিম কার্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় টেলিকম প্রোভাইডার হলো রিলায়েন্স জিও।
২০১৬ সালে লঞ্চ হবার পর থেকে দেশের বাজারে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে এই বেসরকারি টেলিকম সংস্থা। অনেক সস্তায় ইন্টারনেট প্রোভাইড করে এই কোম্পানি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রাহকদের মাঝখানে। দেশের কোনায় কোনায় তাদের নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে পারে রিলায়েন্স জিও। এরপরে জিও বর্তমানে ভারতের সবথেকে গ্রহণযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার। গরিব মানুষদের সুবিধার্তে বেশকিছু রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে আসে রিলায়েন্স জিও। তার সঙ্গে জিওর কাছে আছে অত্যন্ত সস্তায় ফিচার ফোন জিও ফোন। কিন্তু এইবারে, কৃষকদের দাবি তারা রিলায়েন্স জিওর সমস্ত প্রোডাক্ট বয়কট করতে চাইছেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কোনরকম সুবিধা না পাওয়ার কারণে কৃষকদের সঙ্গে এখনো সমস্যা চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের। কেন্দ্রের প্রস্তাবে কোনো কৃষক রাজি হননি। এবং তারপরেই এসব নেতারা বৈঠক করে জিও সিম বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিলেন। শুধুমাত্র সিম নয়, তারা জিওর সমস্ত প্রোডাক্ট বর্জন করার ঘোষণা করেছেন। টুইটারে সর্বপ্রথম এই খবরটি সকলের সামনে উঠে আসে। এবং তার পর থেকেই টুইটারে ট্রেনিং হতে শুরু করে #BoycottJio এবং #JioSim ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ।
তবে, কৃষকদের এই জিও সিম বয়কট যে সরাসরি বড় ধাক্কা দিতে চলেছে রিলায়েন্স জিও কে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৬ থেকে শুরু করে রিলায়েন্স জিও ক্রমাগত তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু এইবারে জিও সিম বয়কট করার হুঁশিয়ারি পরে রিলায়েন্স জিও প্লাটফর্ম বেশ বড়সড়ই এক ধাক্কা খেতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তার কারণ স্বরূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের অধিকাংশ কাস্টমার মধ্যবিত্ত এবং গরীব। তাই তাদের পরিবারে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় জিও সিম। এই মুহূর্তে যদি কৃষকরা জিও সিম বয়কট করার ঘোষণা করেন, তাহলে রেকর্ড সংখ্যক গ্রাহক হারাতে চলেছে রিলায়েন্স জিও।