বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দূষণ একটা গভীর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকারখানা থেকে শুরু করে গাড়িতে জীবাশ্ম জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত দহনের ফলে বায়ুদূষণে কলুষিত হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। আর ভবিষ্যতের কথা ভেবে গোটা মানবজাতি বর্তমানে পরিবেশ দূষণ কমানোর উদ্দেশ্যে নিরন্তন চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষটা বুঝেছে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ি বা বাইক আমাদের ভবিষ্যৎ হতে পারে। এই ইলেকট্রিক গাড়ি বাইকের দুনিয়াকে খুব তাড়াতাড়ি মেনে নিতে হবে মানবজাতিকে।
বর্তমানে আমাদের দেশ তথা গোটা বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ি বা বাইক কেনার প্রবণতা বাড়ছে গ্রাহকদের। আর গ্রাহকরা ইলেকট্রিক বাইক বা গাড়ি কেনার চাহিদা দেখানোয় কোম্পানিগুলি আরো উন্নত প্রযুক্তি আনার বিষয় মনোনিবেশ করেছে। এবার জনপ্রিয় বাইক রেন্টাল সংস্থা Bounce তাদের নতুন ইলেকট্রিক স্কুটি Bounce e লঞ্চ করছে। আসুন আজকের প্রতিবেদনে ইলেক্ট্রিক স্কুটির স্পেসিফিকেশন সম্বন্ধে সবিস্তারে জেনে নিন।
Bounce কোম্পানি সম্পূর্ণ তাদের নিজের ইলেক্ট্রিক স্কুটি বানিয়ে রেন্টাল সার্ভিস দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই Bounce কোম্পানি সম্প্রতি একটি Bounce e নামক ইলেকট্রিক স্কুটি লঞ্চ করেছে। এই স্কুটি ১০০ সিসি বাইকের সমান ক্ষমতা সম্পন্ন। এই স্কুটির সামনে-পিছনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। স্কুটি সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এই স্কুটি ভারতীয় গ্রাহকরা কিনতে পারবে ও ব্যাঙ্গালোর, হুবলি ও বিজয়ওয়াড়া অঞ্চলে এই ইলেকট্রিক স্কুটি রেন্টাল পাওয়া যাবে। এই স্কুটি রেন্ট করতে শুধুমাত্র আপনার স্মার্টফোনে বাউন্স অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
এছাড়া অঞ্চলের মধ্যে যারা জিনিসপত্র সরবরাহ বা পরিবহন করে তাদের জন্য এই স্কুটি পারফেক্ট হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি। কারণ এই ইলেকট্রিক স্কুটিতে জিনিস দেখার জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে। স্কুটিতে কোনো অসুবিধা ছাড়া দুটো বড় হেলমেট রাখা যায়। এছাড়া এই স্কুটি একবার চার্জ করলে ৬৫ কিলোমিটার অব্দি চলে। এই স্কুটি কিনতে গেলে খরচ করতে হবে মাত্র ৫৫০০০ টাকা। এছাড়া গ্রাহকদের মেইনটেনেন্স ও ব্যাটারি পরিবর্তনের জন্য ১৪৫০ টাকা দিতে হতে পারে।