রবিবার ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস একটি নতুন অভিযোগ নিয়ে পার্লামেন্টের দরবারে পৌঁছেছে। তাদের অভিযোগ ভারতের বর্তমান শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তার শাখা সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ একত্রে ভারতের ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ কে কন্ট্রোল করছে। এই মর্মে তারা সংসদীয় তদন্তের এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও পেশ করেছে সংসদের কাছে।
শুক্রবার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টকে উল্লেখ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে বেশকিছু এমন কমেন্ট এবং পোস্ট করেছে যেগুলি সম্পূর্ণরূপে নীতিবিরোধী। কিন্তু ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর কর্মীরা তাদের অ্যাপ্লিকেশনের ” কমার্শিয়াল ইন্টারেস্ট ” অক্ষুন্ন রাখার জন্য এই ধরনের কনটেন্ট গুলিকে দেখেও না দেখার ভান করছেন। বরং পরিবর্তে এই কমেন্ট গুলিকে ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারেও সোচ্চার হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন ,” বিজেপি এবং আরএসএস ভারতে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ কে কন্ট্রোল করছে। তারা এর মাধ্যমে ফেক নিউজ এবং ঘৃণা ছড়াচ্ছে, যার মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করার চেষ্টা করছে। অবশেষে এই আমেরিকান মিডিয়া ফেসবুকের এই শক্তিকে সামনে নিয়ে এসেছে। “
এই বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে, তারা জানায় যে তাদের প্ল্যাটফর্মে কোনরকম বিতর্কিত কনটেন্ট শেয়ার করা হয় না। এছাড়াও এরকম কনটেন্টও ব্যান করা হয় যেগুলি পাবলিক পলিসিকে লংঘন করে।
তারা আরো জানিয়েছে,” আমরা জানি আরো অনেক কাজ আমাদেরকে করতে হবে। আমরা সে দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা প্রত্যেকদিন নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করছি এবং প্রতিটি কনটেন্ট অডিট করছি যাতে আমরা সম্পূর্ণরূপে সঠিক ইনফরমেশন আপনাদেরকে দিতে পারি।”
এই বিষয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র অজয় মাকেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ” কংগ্রেস পার্টি ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি যুক্ত সংসদীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। “
শুধু তাই নয়, ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে টিমের বিরুদ্ধে একটি অন্তর্বর্তী তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এদিন অজয় মাকেন।