করোনা মহামারী এসে আমাদের জীবনযাত্রা একেবারেই বদলে দিয়েছে। তবে মনে হয় আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তারপরে আবারো বাঙালি বেরিয়ে পড়বে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গার উদ্দেশ্যে। তবে নতুন নতুন জায়গায় গেলে এবারে আপনার প্রয়োজন পড়বে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট।
আসলে এটি একটি ডিজিটাল হেলথ পাস। এটি আপনারা বিশেষ কিছু অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারেন। করণা সংক্রমণ এবং টিকার সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য থাকবে এই অ্যাপ্লিকেশনে। অর্থাৎ আপনি টিকা নিয়েছেন কিনা, আপনি সংক্রমিত হয়েছেন কিনা, আপনি টিকা নিলে তা কতদিন আগে নিয়েছেন সব কিছুই লেখা থাকবে এই পাসে। এই সমস্ত তথ্য নিয়ে তৈরি হবে ডিজিটাল হেলথ পাস ভ্যাকসিন পাসপোর্ট।
বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে বেশকিছু রিপোর্ট দেখা গিয়েছে। কোথাও বেড়াতে গেলে কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গেলে এই বিশেষ পাস বাধ্যতামূলক এবার থেকে। যদি আপনি বিদেশ সফরে কোনদিন যান সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট। এবারে সেরকমভাবেই বাজারে আসতে চলেছে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট। এই ভ্যাকসিন পাসপোর্ট করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষভাবে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও অনেকের আবারো সংক্রমনের ঘটনা দেখা গিয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে, এই ধরনের পাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই আইবিএম, কনট্রাস্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থা স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ ডিজাইনিং এর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনের নাম দেওয়া হয়েছে CommonPass। অন্যদিকে আইবিএম তৈরি করছে Digital Health Pass।
এই পাস গ্রহণ করতে গেলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
১) প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনে করণা পরীক্ষার সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য দিতে হবে।
২) এরপর আপনার ডিজিটাল পাস তৈরি হবে এবং একটি কিউআর কোড আপনি পাবেন।
৩) যখন আপনি ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চাইবেন তখন কিউআর কোড নির্দিষ্ট জায়গায় আপনাকে দেখাতে হবে। সেটা দেখানো হয়ে গেলে আপনাকে তারা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দিয়ে দেবে।