করোনার মত মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে উন্নত মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনার সঙ্গে লড়াই করতে যখন সারাবিশ্ব লকডাউন এর রাস্তায় হেঁটে ছিল তখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল প্রধান জিনিস। মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল মোবাইল। পাশাপাশি যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল তখন শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস এর উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন। তিনি ওই ভাষণে বলেছেন, মোবাইল প্রযুক্তির সাহায্যে মহামারীর সময় ক্যাশলেস লেনদেন করা গিয়েছিল। পাশাপাশি টেলিকমিউনিকেশন পদ্ধতিতে ভারত অনেকটাই এগিয়ে এসেছিল ওই সময়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, বর্তমানে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ফাইবার কানেকশন স্থাপন করা হয়ে গেছে। এবারে ওই দ্বীপপুঞ্জের মানুষেরা উন্নত মানের মোবাইল পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত গ্রামে গ্রামে হাইস্পিড মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধ পরিকর ভারত সরকার। এছাড়াও মোবাইল বর্জ্যের উপযুক্ত ব্যবহার এর জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ভারতেও আর কিছুদিনের মধ্যে চলে আসবে ৫জি। ফলে ভারত আর অন্যান্য দেশের থেকে পিছিয়ে থাকবে না।
মোবাইল শিল্পকে কেন্দ্র করে আত্মনির্ভর হওয়ার কথাও বলেন মোদি। মোদি বলেছেন, মোবাইল প্রযুক্তি এবং নকশা উৎপাদনের দিকে জোর দিতে হবে। ভারত যাতে আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম সেক্টরে পরিণত হয় সেই দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। এছাড়াও দেশের তরুণ প্রজন্মকে দেশের কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। তিনি বলেছেন, বড় বড় লগ্নিকারীরা টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী রয়েছে।